তরুণ ছাত্র নেতাই নন, মাতৃভূমিকে ভক্তি করতে ১৯৭১-এ একাধারে করেছেন মুক্তিযুদ্ধ, দায়িত্ব পালন করেছেন সংগঠকের। তিনি মোস্তফা মোহসিন মন্টু। মুক্তির সংগ্রামে যোগ দিতে জেলের তালা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। জীবন বাজি রেখে নয় মাসের মরণপন যুদ্ধে স্বাধীন করেছেন বাংলাদেশ।
৭১ এর উত্তাল মার্চে মুক্তিকামী জনতার মিছিল শ্লোগান আর ব্যারিকেডে যখন উত্তাল ঢাকার রাজপথ, তখন কারাগারে বন্দী ছাত্রনেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু। ৭০ এর নির্বাচনের পর বাঙালীদের এক প্রতিবাদী মিছিলে বিহারী হামলা চালালে তা প্রতিরোধের সময় মারা যায় এক পাকিস্তানী সেনা। এ অপরাধে মোস্তফা মোহসীন মন্টু সহ আরো আনেককে বন্দী করা হয়। দেয়া হয় আটাশ বছরের কারাদণ্ড।
তবে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য যখন যুদ্ধ আসন্ন, সেই যুদ্ধের আহবানে কারাগারে বন্দী রাখা যায়নি এই তরুণকে। ২৫ মার্চ বঙ্গন্ধুর সঙ্গে দেখা করে পান যুদ্ধের নির্দেশনা। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলে যান কেরানীগঞ্জে।
তবে কেরানীগঞ্জে থেকে বেশিদিন প্রতিরোধ যুদ্ধ চালানো সম্ভব হয়নি। ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং শেষে সম্মুখ সমরে যেমন অংশ নিয়েছেন, সংগঠিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধকেও।
নভেম্বরে আবারো কেরানীগঞ্জ আক্রমণ করে পাকিস্তানী বাহিনী। হয় দুই দিনের তুমল যুদ্ধ। ষোলই ডিসেম্বর বিজয়ের দিনও কয়েক দফা যুদ্ধ করেন হানাদারদের সঙ্গে।